পড়াশোনা

বিসিএসে ইংরেজিতে ভালো করার উপায় | চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করার উপায়

যে কোন চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজি একটা বড় অংশ দখল করে থাকে। বিসিএস পরীক্ষায় কিংবা যে কোন চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো পড়তে না পারলে খুব বেশিদূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়না। কারণ ইংরেজিতে কম নাম্বার পাওয়ার ফলে গড় নাম্বার অনেক কমে যায়।

তাই বিসিএস হোক বা যে কোন চাকরির পরীক্ষা হোক ইংরেজিতে ভালো করতে না পারলে চাকরি পাওয়া প্রায় অসম্ভব। আমরা অনেক সময় বিভিন্ন রচনা কিংবা ইংরেজি অনুচ্ছেদে পড়েছি ইংরেজিতে ভালো জ্ঞান না থাকলে চাকরি পাওয়ার একদম অসম্ভব।

ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা না থাকলে আসলে চাকরি পাওয়া যায় না। এ কথাটি হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায় যখন চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে তখন।

আজকের এই লেখার মূল টপিক হলো চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করার উপায় ও বিসিএস ইংরেজিতে ভালো করার উপায়।

আশা করি আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়লে জানতে পারবেন কিভাবে চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করবেন সে সম্পর্কে কিছু টিপস যা অত্যন্ত কার্যকরী।

বিসিএসে ইংরেজিতে ভালো করার উপায়

বিসিএস পরীক্ষা ইংরেজিতে প্রিলিমিনারিতে প্রায় ৩৫ নম্বর বরাদ্দ থাকে এবং লিখিত পরীক্ষায় প্রায় ২০০ নম্বর বরাদ্দ থাকে। বিশেষ করে ইংরেজি রিডিং কম্প্রেহেনশন, অনুবাদ, রচনা এবং বহুনির্বাচনী প্রশ্ন বেশিরভাগ নম্বরগুলো দখল করে থাকে।

ইংরেজি আমাদের নিজস্ব ভাষা না হওয়ার কারণে ইংরেজিতে রাতারাতি ভালো করা সম্ভব নয়। আমরা অনেক সময় ইংরেজি পড়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ টপিকগুলো বাদ দিয়ে থাকি যা পরীক্ষায় সরাসরি আসে না। যেগুলো জানা থাকলে পরীক্ষার হলে খুব সহজে ইংরেজি প্রশ্নের উত্তর করা যায়।

ইংরেজি বেশি বেশি পড়ার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ইংরেজি বেশি বেশি চর্চা করা। তবে অবশ্যই তা বুঝে বুঝে পড়তে হবে এবং নিয়মিত চর্চা বহাল রাখতে হবে।

বিসিএস বা চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করার উপায়

১. বিগত বছরের বিসিএস এর ইংরেজি ব্যাকরণ প্রশ্নগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করতে হবে। অন্যগুলো না করলেও চলবে। অতীতের সকল ইংরেজি প্রশ্নগুলো ব্যাখ্যাসহ জানতে হবে। বিশেষ করে ইংরেজি ব্যাকরণ অংশের প্রশ্নগুলো বাদ দেওয়া চলবে না।

২. যত পারেন তত বেশি ইংরেজি অনুচ্ছেদ বা কমপ্রিহেনশন পড়ুন। ইংরেজি কমপ্রিহেনশন পড়ার সময় কিছু বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে আপনাকে অনুচ্ছেদ থেকে অজানা শব্দের অর্থ জেনে নিতে হবে। ইংরেজি বাক্যের অর্থ বোঝার চেষ্টা করতে হবে এবং সম্পূর্ণ অনুচ্ছেদের মূলভাব বের করতে হবে। যেসব সাধারণ প্রশ্নগুলো থাকবে সেগুলোর উত্তর করার চেষ্টা করতে হবে। একসাথে অনেক বেশি কমপ্রিহেনশন না পড়ে ভালোভাবে অল্প অল্প করে পড়ুন এবং উপরের বিষয়গুলো লক্ষ্য রেখে নিয়মিত চর্চা করুন। কারণ ভাসাভাসা পড়লে সেগুলো আপনার খুব বেশি কাজে দিবে না।

৩. ইংরেজি ব্যাকরণে আসলে নতুন কোন কিছু নাই। প্রিলি পরীক্ষার জন্য যেমন প্রস্তুতি নিয়েছেন ঠিক তেমনি লিখিত পরীক্ষার জন্য ইংরেজি ব্যাকরণ এর প্রস্তুতি নিতে হবে। শেষ করে ইংরেজিতে বাক্য তৈরি করা এবং ইংরেজি শব্দার্থ আপনার ভালো করে আয়ত্ত করতে হবে। এছাড়া ওয়ার্ড ফরমেশন, পার্টস অব স্পিচ চেঞ্জিং ও পাংচুয়েশন ইত্যাদি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ।

৪. ইংরেজি প্যাসেজ থেকে সামারি করার সময় আপনাকে কিছু বিষয়ে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। প্যাসেজ থেকে কোন বাক্য হুবহু পরীক্ষার খাতায় তুলে দেওয়া যাবে না। সামারি অবশ্যই সম্পূর্ণ নিজের ভাষায় লিখতে হবে। আপনাকে ব্যাপক পরিমাণে সমর্থক ও বিপরীত শব্দ জানতে হবে।

৫. বিসিএস লিখিত পরীক্ষা সম্পাদকের নিকট চিঠি লিখতে বলা হয়। এক্ষেত্রে লেখার সময় অবশ্যই নিয়ম কানুন ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন দুই পৃষ্ঠার বেশি যেন না হয়। অবশ্যই ঘষামাজা ও কাটাকাটি যেন না হয় সেটা খেয়াল রাখবেন। বানান ভুলের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।

আরও পড়ুনঃ প্রথম বিসিএসেই ক্যাডার হওয়ার উপায়

আরও পড়ুনঃ Vocabulary মনে রাখার টেকনিক

আরও পড়ুনঃ Ssc তে ভালো করার উপায়

 

৬. বিসিএস কিংবা চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করার সেরা উপায় হলো আপনার ইংরেজী ফ্রি হ্যান্ড লেখার দক্ষতা থাকা। এই দক্ষতা আপনার দখলে আনতে পারলে যে কোন চাকরির পরীক্ষায় সবার থেকে এগিয়ে থাকবেন।

৭. ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে হলে অবশ্যই ইংরেজি শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ করতে হবে। ইংরেজি শব্দভান্ডার শেখার ক্ষেত্রে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। ইংরেজি ভোকাবুলারি মনে রাখার উপায় সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। চাইলে এই আর্টিকেলটি পড়ে নিতে পারেন। আশা করি ইংরেজি শব্দার্থ মনে রাখার উপায় নিয়ে আর কোন আর্টিকেল পড়তে হবে না।

৮. যে কোন চাকরির পরীক্ষা কিংবা বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজি লেখার ক্ষেত্রে কোয়ালিটি বজায় রাখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ‘লিখিত’ ইংরেজি হলো Written , তবে মানসম্মতভাবে লিখতে চাইলে ‘Black and White’ এই Phrase টি ব্যবহার করলে আরও বেশি মানসম্মত হবে লেখা। পরীক্ষার খাতায় ইংরেজি লেখার মান ভালো হলে অবশ্যই বেশি নম্বর প্রত্যাশা করতে পারেন।

৯. ইংরেজিতে ভালো নম্বর পেতে হলে Preposition সম্পর্কে আপনার ভালো ধারণা রাখতে হবে। Appreciate Preposition আয়ত্ত করতে হবে। এগুলো জানা থাকলে ইংরেজি লেখায় আপনি সুন্দরভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।

১০. চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করার আরেকটি সেরা উপায় হলো ইংরেজি Tense সম্পর্কে বিস্তারিত  ও অ্যাডভান্স জ্ঞান রাখা। এটা ছাড়া আপনি ইংরেজি লেখা, বলা কিংবা পড়া কোনটাই কল্পনা করতে পারবেন না। ইংরেজি ভাষার প্রাণ হলো এটি। ইংরেজি ভাষা শেখার পূর্বে এটা জানা ফরজ।

১১. বিসিএস কিংবা চাকরির পরীক্ষার জন্য ইংরেজি ভালো বই সংগ্রহ করতে পারেন। বাজার থেকে মানসম্মত একটা ইংরেজি ব্যাকরণ বই ও লিখিত পরীক্ষার জন্য একটা বই কিনে নিয়মিত চর্চা অব্যাহত রাখুন।

১২. বিগত বছরের চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করে আপনাকে একটা চূড়ান্ত সাজেশন তৈরি করতে হবে গুরুত্বপূর্ণ টপিক এর উপর ভিত্তি করে।

১৩. চাকরির পরীক্ষায় ভালো করার জন্য আপনার ইংরেজী পত্রিকা পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ইংরেজি পত্রিকা পড়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।

আশা করি উপরের টিপসগুলো অনুসরণ করলে বিসিএস কিংবা যে কোন চাকরির পরীক্ষায় ইংরেজিতে ভালো করতে পারবেন। লিখিত হোক কিংবা বহুনির্বাচনি পরীক্ষা হোক। আধুনিক এই যুগে ইংরেজিতে ভালো করতে না পারলে চাকরি পাওয়া খুবই মুশকিল। তাই ইংরেজিতে ভালো করা আপনার জন্য বাধ্যতামূলক। নতুবা চাকরির পরীক্ষায় আপনি সফল হতে পারবেন না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button