পড়াশোনা

বহিপীর নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

আপনি যদি ইতিমধ্যে অনলাইনে এসে বহিপীর নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর এই সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন তবে শুরু করা যাক এখান থেকেই।

বহিপীর নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১

দিনমজুর রজব মিয়ার ২ মেয়ে ১ ছেলে। অভাবের তাড়নায় ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বড় মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। পাশের গ্রামের দিনু মােড়লের স্ত্রী মারা গেলে রজব মিয়া তার সাথে মেয়ের বিয়ে ঠিক করে। এতে রজব মিয়ার স্ত্রী রােকেয়া রাজি নন। তিনি সত্য হলেও কষ্ট করে সন্তানদের লেখাপড়া শিখিয়ে উপযুক্ত পাত্রের হাতে তুলে দিতে চান।

ক. হাতেম আলির বাল্যবন্ধুর নাম কী?

খ. সূর্যান্ত আইন বলতে কী বােঝ?

গ. রজব মিয়ার সাথে তাহেরার বাবার কোনাে সাদৃশ্য আছে কি? বহিপীর নাটকের আলােকে ব্যাখ্যা কর। ?

ঘ. উদ্দীপকের রােকেয়া চরিত্রটিতে ‘বহিপীর’ নাটকের তাহেরার মা চরিত্রের বিপরীত বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে- উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী বহিপীর নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ হাতেম আলির বাল্যবন্ধুর নাম আনােয়ার উদ্দিন।

খ উত্তরঃ ১৭৯৩ সালে প্রণীত যে আইনে জমিদাররা খাজনা দিতে না পারলে জমিদারি হারাতেন তাকে সূর্যাস্ত আইন বলে।  সূর্যাস্ত আইন প্রণীত হয় ১৭৯৩ সালে। এই আইনে যেদিন পর্যন্ত জমিদারদের সময় বেঁধে দেওয়া হতাে সেদিনের সূর্যাস্তের আগে খাজনা পরিশােধ করা না হলে জমিদারি কেড়ে নেওয়া হতাে এবং নিলামে তােলা হতাে।

এই আইনে বহু জমিদার তাদের জমিদারি হারিয়েছিলেন। বহিপীর’ নাটকে জমিদার হাতেম আলি এ আইনের সম্মুখীন হয়েছিলেন।

সারকথা : ১৭৯৩ সালে প্রণীত আইন অনুসারে জমিদারদের বেঁধে দেওয়া দিনে সূর্যাস্তের মধ্যে খাজনা দিতে না পারলে তার জমি নিলামে উঠত বলে তাকে সূর্যাস্ত আইন বলে।

গ উত্তরঃ মেয়েকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেওয়ার দিক থেকে রজব মিয়ার সঙ্গে তাহেরার বাবার সাদৃশ্য রয়েছে।  পুরুষশাসিত সমাজে নারীরা নানাভাবে অবহেলা ও নির্যাতনের শিকার হয়। তাদের ইচ্ছার-অনিচ্ছার কোনাে মূল্য দেওয়া হয় না। অথচ নারীর প্রতি যে সমাজ অবহেলা করে সে সমাজ কখনাে উন্নতি করতে পারে না।

উদ্দীপকের রজব মিয়া তার মেয়েকে এক বয়স্ক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দিতে চায়। সে তার মেয়ের মতামতের কোনাে গুরুত্ব দেয় না। বহিপীর নাটকেও তাহেরার বাবা বিয়ের ব্যাপারে তাহেরার মতামতের কোনাে গুরুত্ব দেয় না। সে জোর করে বৃদ্ধ পীরের সঙ্গে তার বিয়ে দেয়। বিয়ের বিষয়ে মেয়েদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার মূল্য তারা কেউ দেয়নি। এ দিক থেকে তারা দুজনই পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্র।

সারকথা : উদ্দীপকের রজব মিয়া তার মেয়ের মতামত না নিয়েই বয়স্ক দিনু মােড়লের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে। বহিপীর’ নাটকেও তাহেরার এ মতামত না নিয়ে তার বাবা বৃদ্ধ বহিপীরের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করে। এদিক থেকে তাহেরার বাবার সঙ্গে উদ্দীপকের রজব মিয়ার সাদৃশ্য বিদ্যমান।

হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট বহিপীর নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের রােকেয়া চরিত্রটিতে বহিপীর’ নাটকের তাহেরার মা চরিত্রের বিপরীত বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে- উক্তিটি যথার্থ। নারীকে বিকশিত হওয়ার সুযােগ আমাদের সমাজ দিতে চায় না। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে তাদের নিরন্তর সংগ্রাম করতে হয় অনেক ক্ষেত্রেই । তবে অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা এখন প্রতিবাদ করছে এবং নিজেদের প্রাপ্য সম্মান আদায় করে নিতে সক্ষম হচ্ছে।

উদ্দীপকে দিনমজুর রজব মিয়া তার মেয়েকে গ্রামের মােড়লের কাছে বিয়ে দিতে চেয়েছে। তার সেই কাজে তার স্ত্রী প্রতিবাদ করেছেন। তার স্ত্রী রােকেয়া একজন সচেতন নারী। সত্য হলেও তিনি অল্পবয়সী মেয়েকে বয়স্ক লােকের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি নন। তিনি মেয়েকে লেখাপড়া শেখাতে চান।

এই চরিত্রের বিপরীত বৈশিষ্ট্যের চরিত্র বহিপীর’ নাটকের তাহেরার মা। কারণ তাহেরার বাবা বৃদ্ধ পীরের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে ঠিক করলেও তাহেরার সত্য কোনাে প্রতিবাদ করেনি । বহিপীর’ নাটকে তাহেরা এক প্রতিবাদী নারী চরিত্র । সে অন্যায় মেনে না নিয়ে একাই সামাজিক অসংগতি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।

এক্ষেত্রে তার সত্মা তার পাশে দাঁড়ায়নি। সে পরকালের চিন্তা করে বৃদ্ধ পীরের কাছে তাকে বিয়ে দিয়েছে। রােকেয়া তা করেননি। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সারকথা : উদ্দীপকে দিনমজুর রজব মিয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন তার স্ত্রী। মেয়েকে বয়স্ক লােকের সঙ্গে বিয়ে না দিয়ে লেখাপড়া করাতে চেয়েছেন। আর বহিপীর’ নাটকে পীরকে খুশি করার জন্য তাহেরার সত্য পুণ্য লাভের আশায় বৃদ্ধ পীরের সঙ্গে মেয়ের বিয়েতে রাজি হয়েছে।

প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে বহিপীর নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।

বহিপীর নাটকের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২

একই বয়সের দুজন বন্ধু সুরভী ও আকাশ। আকাশ স্কুলে গেলেও সুরভীর সেই সুযােগ নেই। সুরভী তার মাকে পড়ার কথা বললেও মেয়েদের ঘরের কাজে সাহায্য করাই মূল দায়িত্ব বলে মনে করে ওর মা। সুরভীর মতামতের কোনাে মূল্য দেয় না ওর পরিবার।

ক. হাতেম আলি বহিপীরের শর্তে রাজি হলেন না কেন?

খ. আর একটা রাত। এত দিনের পুরনাে জমিদারির শেষ রাত। হাতেম আলি এই উক্তিটি কেন করেছেন?

গ. উদ্দীপকের সুরভীর সাথে বহিপীর নাটকের সাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্রটি ব্যাখ্যা কর।

ঘ. বহিপীর’ নাটকে নারীর ব্যক্তিগত স্বাধীনতা প্রসঙ্গটি যেভাবে এসেছে তা উদ্দীপকের আলােকে বিশ্লেষণ কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ হাতেম আলির মধ্যে নৈতিকতাবােধ ও মানবিক চেতনার জাগরণের ফলে তিনি বহিপীরের শর্তে রাজি হলেন না।।

খ উত্তরঃ ‘আর একটা রাত। এত দিনের পুরনাে জমিদারির শেষ রাত।’- এ কথায় মাধ্যমে হাতেম আলি জমিদারি নিলামে ওঠার অন্তিম মুহূর্তকে বুঝিয়েছেন।

বহিপীর’ নাটকে হাতেম আলি রেশমপুরের জমিদার। জমিদাররা প্রজাদের কাছ থেকে খাজনা আদায় করে তা সদরে পাঠাতেন। যদি খাজনা পাঠাতে তারা বিলম্ব করতেন তবে নিলামের মাধ্যমে জমিদারি অন্যের হাতে চলে যেত। হাতেম আলিকে খাজনা দেওয়ার জন্য যে, সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে সেই সময়ের অবশিষ্ট মাত্র একটা রাত ছিল। রাতের শেষেই তার জমিদারি শেষ হবে এবং তা নিলামের মাধ্যমে অন্যের কাছে চলে যাবে। আলােচ্য উক্তিতে তাই বােঝানাে হয়েছে। 

সারকথা : ‘আর একটা রাত। এত দিনের পুরনাে জমিদারির শেষ রাত।’- এ কথার মাধ্যমে হাতেম আলি তার জমিদারি নিলামে ওঠার বেঁধে দেওয়া সময়কে নির্দেশ করেছেন।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকের সুরভীর সাথে বহিপীর’ নাটকের তাহেরার চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ। মানুষের জীবনের বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিয়ের ক্ষেত্রে বর ও কনের মতামত, পছন্দ-অপছন্দের সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত। অথচ আমাদের দেশে এ বিষয়ে সমাজ মেয়ের কোনাে অনুমতি নেওয়ার প্রয়ােজন মনে করে না এবং কোনাে ক্ষেত্রেই মেয়ের মতামতকে প্রাধান্য দেওয়া হয় না।

উদ্দীপকের সুরভী ও আকাশ দুজনই সমান বয়সী। আকাশ স্কুলে পড়ার সুযােগ পেলেও সুরভীর সেই সুযােগ নেই। সুরভী তার মাকে লেখাপড়ার কথা বললেও ওর মা মেয়েদের ঘরের কাজে সাহায্য করাই মূল দায়িত্ব মনে করে। সুরভীর মতামতের কোনাে মূল্য দেয় না ওর পরিবার।

অন্যদিকে বহিপীর’ নাটকের অন্যতম নারী চরিত্র তাহেরা । তার পরিবারেও সে অবহেলিত। তাছাড়া তার সম্মা মেয়ের ইচ্ছাঅনিচ্ছার কথা ভাবে না। তার মতামতের কোনাে মূল্য নেই তাদের কাছে। তাহেরার মতের বিরুদ্ধে তাকে জোর করে বৃদ্ধ পীরের সঙ্গে বিয়ে দেয়। উদ্দীপকের সুরভী ও নাটকের তাহেরা কারও মতামতেরই কোনাে গুরুত্ব নেই তাদের পরিবারে। এই দিক থেকে উদ্দীপকের সুরভীর সাথে বহিপীর’ নাটকের তাহেরা চরিত্রটি সাদৃশ্যপূর্ণ।

সারকথা : পরিবারে মেয়ের নিজের মতামতের কোনাে গুরুত্ব না থাকার দিক থেকে উদ্দীপকের সুরভী এবং বহিপীর’ নাটকের তাহেরার মধ্যে তা চারিত্রিক সাদৃশ্য বিদ্যমান।

আপনি এই পোষ্টে বহিপীর নাটকের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর  নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ বহিপীর’ নাটকে নারীর ব্যক্তিগত স্বাধীনতা প্রসঙ্গটি যেভাবে এসেছে তা উদ্দীপকের আলােকে বিশ্লেষণ করা হলাে। একসময় নারীরা সামাজিকভাবে অবহেলার শিকার হয়েছে। তখন তাদের মতামতের কোনাে গুরুত্ব দেওয়া হতাে না। তাদেরকে পুরুষের সেবাদাসী করে রাখা হয়েছিল।

বর্তমানে সেই অবস্থার অবসান হয়েছে। এখন নারীরা তাদের অধিকার আদায়ে সােচ্চার হয়েছে। উদ্দীপকের সুরভীর বন্ধু আকাশ স্কুলে যায়, পড়াশুনা করে; সুরভীর সেই সুযােগ নেই। সুরভী তার মাকে লেখাপড়ার কথা বললেও মেয়েদের ঘরের কাজে সাহায্য করাই মূল দায়িত্ব বলে তার মা মনে করে।

সুরভীর পরিবার তার মতামতের কোনাে মূল্য দেয় না। অন্যদিকে বহিপীর’ নাটকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র তাহেরা। সে মাতৃহারা। তার কুসংস্কারাচ্ছন্ন বাবা ও সত্য বৃদ্ধ পীরের সঙ্গে তাকে জোর করে বিয়ে দেয়। তাহেরা সেই বিয়ে মেনে নেয়নি। সে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে শহরগামী এক বজরায় আশ্রয় পায়।

বহিপীর’ নাটকের তাহেরার বাবা ও সত্যা যখন তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দেয় সেই রাতে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে সে নতুন জীবনের সন্ধানে হাশেম আলির হাত ধরে অজানার উদ্দেশে রওয়ানা দেয়। এক্ষেত্রে তাহেরাকে নারী জাগরণের প্রতীক বলা যায়।

অন্যদিকে উদ্দীপকের সুরভীর কোনাে স্বাধীনতাই নেই। তাহেরার সাহসী কর্মকাণ্ডের কারণেই বহিপীর’ নাটকে নারীর ব্যক্তিগত স্বাধীনতা প্রসঙ্গটি এসেছে।

সারকথা : পুরুষশাসিত সমাজের নিয়ম বহিপীর নাটকের তাহেরা মেনে নেয়নি। সে সৎত্মা ও পীরভক্ত বাবার সিদ্ধান্ত মেনে না নিয়ে ঘর । ছেড়ে পালিয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত জমিদারপুত্র হাশেমের সঙ্গে নতুন জীবনের সন্ধানে এগিয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে তার যে ব্যক্তিস্বাধীনতা লক্ষ করা যায় তা উদ্দীপকে নেই।

অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান বহিপীর নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের সাইটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষামূলক পোষ্ট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button