তথ্যমূলক

বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যবসায় উদ্যোগের ভূমিকা

আমরা সবাই জানি যে, কোন একটি ব্যবসা স্থাপনের মূল ভূমিকা হিসেবে পালন করে উদ্যোগ। এই উদ্যোগের ফলে নতুন নতুন সম্পদের সৃষ্টি হয়। এর ফলে মূলধন গঠন করা সম্ভব হয়। সেই সাথে এই উদ্যোগের কারণে একটি ব্যবসা তে ঝুঁকি আছে এটা জানার পরেও। নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি হয়। আর সে কারণেই বলা হয়ে থাকে যে, আর্থ সামাজিক ব্যবসায় উদ্যোগের ভূমিকা অপরিসীম। কারণ এর ফলে এটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কে সঠিক ভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয়। আর যখন কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর সূচনা হয়। তখন সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হয়। মূলত এই সবকিছুই সম্ভব হয় উদ্যোগের ফলে। যদি উদ্যোগ না থাকতো তাহলে কোনো ভাবেই এই কাজ গুলো করা সম্ভব হতো না।

মূলত আজকের আর্টিকেলে আমি এই উদ্যোগ সম্পর্কে বিস্তারিত বলার চেষ্টা করব। যদি আপনি আজকের এই পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ দিয়ে পড়েন। তাহলে আপনি বাংলাদেশের আর্থ ও সামাজিক ব্যবসায় উদ্যোগের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে পারবেন। সেই সাথে আপনি আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে ব্যবসায় উদ্যোগের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে আর দেরি না করে চলুন সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক। এবং বাংলাদেশের আর্থ ও সামাজিক ব্যবসায় উদ্যোগের ভূমিকা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

সম্পদের সঠিক ব্যবহার

যখন ব্যবসার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। তখন আমাদের দেশের বিভিন্ন রকমের সম্পদ এর সঠিক ব্যবহার হয়। যেমন, প্রাকৃতিক সম্পদ, কৃত্রিম সম্পদ, এর সুষ্ঠু ব্যবহার হয়ে থাকে। যার ফলে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা সম্ভব হয়। এর ফলে অবশ্যই উদ্যোগ এর যথেষ্ট পরিমাণ ভূমিকা রয়েছে।

কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়

যখন কোন ব্যবসার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়। তখন সেই ব্যবসার উদ্যোগ এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়। আর যখন এই ধরনের প্রতিষ্ঠান হয়। তখন বিভিন্ন মানুষ উক্ত প্রতিষ্ঠান গুলো তে কাজ করার ফলে। অনেক বেকার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। এবং এই প্রতিষ্ঠান গুলো তে কাজ করে অনেক মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারে।

দক্ষ মানব সম্পদের সৃষ্টি হয়

সফল উদ্যোগের ফলে যখন কোন প্রতিষ্ঠান এর উদ্ভব হয়। তখন সেই প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করার জন্য কাজ করে। আর একজন মানুষ যখন এই কাজ গুলো প্রতিনিয়ত করে। তখন তার ভেতরে উক্ত কাজের দক্ষতা অর্জন হতে থাকে। আর এভাবে মানুষ যত বেশি কাজ করতে পারে। মানুষের ভেতর বিভিন্ন কাজের দক্ষতা বাড়তে থাকে। এর ফলে দেশের মধ্যে দক্ষ মানব সম্পদের সৃষ্টি হয়।

জাতীয় আয় ও উৎপাদন বৃদ্ধি হয়

যত বেশি উদ্যোগ এর প্রভাব বৃদ্ধি পাবে। ঠিক তত বেশি উদ্যোক্তাদের সংখ্যা বেড়ে যাবে। আর এই উদ্যোক্তাদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর সৃষ্টি হবে। যার ফলে সেই সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে উৎপাদন আরো অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। আর এই উৎপাদিত পণ্য গুলোর মাধ্যমে একটি দেশের জাতীয় আয় অনেক বেশি বেড়ে যায়। যার ফলে সেই দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো অনেক মজবুত হয়।

পর নির্ভরশীলতা কমে যায়

উদ্যোগের ফলে যখন নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি হবে। তখন মানুষ সেই প্রতিষ্ঠান গুলো তে কাজ করে নিজের জীবিকা নির্বাহ করবে। এর ফলে তারা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবে। আর যখন তারা নিজে থেকেই কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবে। তখন তাদের মধ্যে পর নির্ভরশীলতা অনেক কমে যাবে। সেই সাথে যারা মূলত উদ্যোক্তা হবে। তারা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতে পারবে। এবং দেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো কে আরো জোরদার করতে পারবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button