পড়াশোনা

কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি যদি ইতিমধ্যে কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।

কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১

মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মাকে হারিয়ে কিশাের অন্তু আশ্রয় পায় দূরসম্পর্কের এক চাচার বাসায়। কিছুদিন পর চাচা তাকে গাড়ির হেলপার হিসেবে কাজ করে রােজগার করার তাগাদা দেয়। অসহায় অন্তু চোখের জলে ভেসে কাজে লেগে যায়।।

ক. বুধাকে গােবররাজা বলে ডাকে কে?

খ. ‘কিছু হলেই তাের চোখ লাল হয়ে যায়’- কে, কেন বলেছে?

গ. উদ্দীপকে কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের কোন বিষয়টি উঠে এসেছে? আলােচনা কর।

ঘ. ‘এতিম শিশু-কিশােররা চরম অবহেলায় পৃথিবীতে বড় হয়’- উদ্দীপক ও ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের আলােকে তােমার মূতামত দাও। 

উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ গাঁয়ের গােবর কুড়ানি বুড়ি বুধাকে গােবররাজা বলে ডাকে।

খ উত্তরঃ ‘কিছু হলে তাের চোখ লাল হয়ে যায়’- এ কথা বুধাকে তার চাচি বলেছে।

কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র বুধা। সে কিশাের কিন্তু ভীষণ সাহসী। কলেরায় আক্রান্ত হয়ে এক রাতেই বুধার মা-বাবা, ভাইবােন সবাই মারা যায়। এরপর বুধা চাচার সংসারে বেড়ে ওঠে। চাচার রােজগার নেই। সংসারে আটজন ছেলে-মেয়ে, তার ওপর আবার বুধার খরচ। তাই চাচি একদিন বুধাকে রােজগার করে নিজের খরচ নিজেকে চালাতে বলে। এতে বুধার চোখ লাল হয়ে ওঠে।

খাওয়ায় সময় এই কথা বলায় বুধার গলায় ভাত আটকে যায়। তখন চাচি তাকে পানির গ্লাস এগিয়ে দিয়ে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলে। ছােটবেলায় বুধা খুব লক্ষ্মী ছেলে ছিল। মা-বাবা, ভাই-বােন মারা যাওয়ার পরই তার মেজাজ এমন হয়ে গেছে। তাই কিছু হলেই তার চোখ লাল হয়ে যায়।

সারকথা : বুধা মা-বাবা, ভাই-বােন হারানাে এক কিশাের। অন্যায় দেখাল, রাগ হলে, তার চোখ লাল হয়ে যায়।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকে কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের চাচার সংসারে বুধার বেড়ে ওঠা এবং সেখানে বুধাকে আয়-রােজগার করে খাওয়ার জন্য চাচির নির্দেশের বিষয়টি উঠে এসেছে। প্রত্যেক সন্তানই মা-বাবাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়। মা-বাবা সন্তানের সবচেয়ে আপনজন। বাবা-মা হারা সন্তানের ব্যথা-যন্ত্রণা অবর্ণনীয়। সে সবার কাছে একটু স্নেহ-মমতা আশা করে। অসহায় জীবনে বেঁচে থাকার জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করে।

উদ্দীপকে সড়ক দুর্ঘটনায় পিতৃমাতৃহীন এক কিশােরের কষ্ট-যন্ত্রণার দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। কিশাের অন্তু মা-বাবাকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। অসহায় অবস্থায় দূরসম্পর্কের এক চাচার বাসায় সে আশ্রয় লাভ করে। সেখানে অল্পদিনের মধ্যে সেই চাচা অন্তুকে গাড়ির হেলপার হিসেবে কাজ করে রােজগার করতে তাগাদা দিতে থাকে। অন্তু তখন আরও অসহায় বােধ করে।

উদ্দীপকের অন্তর এই অসহায় অবস্থা কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধার অসহায় অবস্থার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। কলেরায় আক্রান্ত হয়ে বুধার বাবা-মা, ভাই-বােন সবার মৃত্যু হলে সে চাচার বাড়িতে আশ্রয় লাভ করে। সেখানে তার চাচি তাকে আয়-রােজগার করে নিজের দায়িত্ব নিজেকে নিতে বলে। তার খাওয়া-পরা আশ্রয়ের ভার থেকে চাচিকে মুক্তি দিতে বলে। বুধাও তখন অসহায় বােধ করে।

সারকথা : পিতৃমাতৃহীন সন্তানকে আত্মীয়-পরিজনরা খুব সহজভাবে গ্রহণ করে না। আশ্রয় দিলেও তারা সেখানে স্নেহ-মমতার পরিবর্তে মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়। উদ্দীপকের কিশাের অন্থ এবং কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা অনুরূপ মানসিক নির্যাতন ও অবহেলার শিকার।

হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ এতিম শিশু-কিশােররা চরম অবহেলায় পৃথিবীতে বড় হয়’- মন্তব্যটি যথার্থ । পৃথিবীতে যাদের বাবা-মা কেউ নেই, তারা বড়ই অসহায়। নিজের জীবনের সমস্ত দায়িত্ব তাদের একার ! তাদের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেওয়ার কেউ থাকে না। নিকট আত্মীয় কেউ থাকলেও তাদের প্রতি বিশেষ কোনাে সহায়নুভূতি দেখায় না। বহু কষ্টে তাদের বাচার পথ তৈরি করে নিতে হয়।

উদ্দীপকে একজন এতিম কিশােরের কথা বলা হয়েছে। এই কিশাের দূরসম্পর্কের চাচার আশ্রয় লাভ করলেও সেখানে সে আদরে থাকেনি। প্রতিনিয়তই তার চাচা তাকে উপার্জন করার কথা বলেছে। গাড়ির হেলপারের কাজ করতে বলেছে।

কাকতাড়ুয়া উপন্যাসেও বুধা মা-বাবা, ভাই-বােন সবাইকে হারিয়ে অসহায় অবস্থায় চাচার বাড়িতে আশ্রয় লাভ করেছে। সেখানে সে বেশি দিন আদরে থাকেনি। একটু বড় হলে চাচি তাকে আয়-রােজগার করে খেতে বলে, তাকে মুক্তি দিতে বলে। বুধা তখন নিজের দায়িত্ব নিজে নেওয়ার কথা বলে চাচার সংসার থেকে বের হয়ে আসে। তখন তার আর দুঃখের অন্ত থাকে না।

‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বুধা’ মাঠের মাঝখানে কাকতাড়ুয়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এভাবে দাঁড়িয়ে থেকেই সে মানুষের আদর পেতে চায়। গাঁয়ের ললাকেরা তাকে আদর করে নাম দেয় কাকতাড়ুয়া। নােলক বুয়া বুধাকে ছন্নছাড়া’ বলে ডাকে। উদ্দীপকের অন্তর অবস্থাও তাই। সে দূরসম্পর্কের চাচার কথা শুনে কেঁদে বুক ভাসিয়েছে।

বুধাকে কাজ দিলে করে দেয়, খাবার দিলে খায়, না দিলে পানি খেয়ে দিন পার করে দেয়। তার কোনাে আশ্রয় নেই, ঠিকানা নেই, পুরাে গ্রামেই সে ঘুরে বেড়ায়। এসব দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সারকথা : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে মা-বাবা হারানাে এতিম বুধা। মানুষের আদর পেতে সে কাকতাড়ুয়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। উদ্দীপকের অন্তন্ত অন্যের স্নেহ-মমতা পেতে চায়। সে না পেয়ে চাখের জলে বুক ভাসায়।

প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।

কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২

অজপাড়া গাঁয়ের কলেজপড়ুয়া ছাত্র শিহাব। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের রক্ত গরম করা ভাষণ শুনে গর্জে ওঠে সে। ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। জীবনকে তুচ্ছজ্ঞান করে একের পর এক সফল অভিযান চালিয়ে পাকসেনাদের গ্রাম ছাড়তে বাধ্য করে।

ক. বুধা কয়টি মশাল বানিয়েছিল?

খ. মতিউর বুধাকে গালাগাল করে কেন?

গ. উদ্দীপকের শিহাবের মধ্যে কাকতাড়ুয়া, উপন্যাসের বুধা চরিত্রের প্রতিফলিত দিকটি তুলে ধর।

ঘ. উদ্দীপকের শিহাব ও কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধার মনােভাব এক ও অভিন্ন”- মন্তব্যটি মূল্যায়ন কর।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ বুধা চারটি মশাল বানিয়েছিল।

খ উত্তরঃ  জিহ্বা বের করে ভেংচি কাটার কারণে মতিউর বুধাকে গালাগাল করে । কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা আলির কাছ থেকে কেরােসিন এনে চারটি মশালে ব্যবহার করে। সেই মশাল দিয়ে গভীর রাতে আহাদ মুন্সির ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়। সেই রাতে সে গাঁয়ের কড়ই গাছের নিচে বাঁশের মাচার ওপর চিতপাত হয়ে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।

সকালে আহাদ মুন্সির ছেলে মতিউর তাঁকে কান ধরে টেনে তােলে। বুধাকে শুয়ােরের বাচ্চা বলে গালি দিয়ে আলির কথা জানতে চায়। বুধা আলির ব্যাপারে কোনাে তথ্য দেয় না। মতিউর তখন বুধার কাছে বাড়িতে কে আগুন দিয়েছে তা জানতে চায়।

বুধা তখন আগুন কী জিনিস তা না জানার ভান করলে মতিউর, তাকে থাপ্পড় দেওয়ার জন্য হাত ওঠায়। তখন বুধা দুই পা পিছিয়ে গিয়ে আগুন আগুন বলতে বলতে নদীর ঢালুতে নেমে যায় এবং জিহ্বা বের করে মতিউরকে ভেংচি কাটে। এ সময় মতিউর আরও বেশি বিরক্ত হয় এবং বুধাকে গালাগাল করে।

সারকথা : ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বুধা আহাদ মুন্সির ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিলে মতিউর বুধার কাছে মুক্তিযােদ্ধা আলির সন্ধান চায় এবং তাকে শাসায়। ফলে বুধা মতিউরকে ভেংচি কাটে।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকের শিহাবের মধ্যে কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা চরিত্রের প্রতিফলিত দিকটি হচ্ছে জীবন বাজি রেখে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার দিকটি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র, নিরীহ বাঙালির ওপর নির্মম নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালায়।

বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ায়। দেশকে স্বাধীন করার প্রতিজ্ঞা নিয়ে তারা শত্রুসেনার সঙ্গে যুদ্ধ করে। উদ্দীপকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে শিহাব নামের এক তরুণের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে জীবন বাজি রেখে শত্রুর মােকাবিলা করার দিকটি তুলে ধরা হয়েছে।

শিহাব তার প্রিয় নেতার আহ্বানে সাড়া দিয়ে পাকসেনাদের গ্রামছাড়া করতে একের পর এক সফল অভিযান চালায়। এখানে কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা চরিত্রের প্রতিফলন ঘটেছে। বুধাও পাকসেনাদের গ্রামছাড়া করতে এবং তাদের দোসরদের শাস্তি দিতে গেরিলা হামলা চালিয়েছে।

উদ্দীপকের শিহাবের মতাে বুধাও ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে উজ্জীবিত। বুধা কানু দয়ালের বাড়িতে সেই ভাষণ শুনে অনুপ্রাণিত হয়েছে। আলির কাছ থেকে কেরােসিন নিয়ে শন্তি কমিটির চেয়ারম্যান আহাদ মুন্সির বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে।

জীবন বাজি রেখে মিলিটারি ক্যাম্পে রেকি করেছে এবং বাঙ্কারে মাইন পুঁতে তাদের ক্যাম্প উড়িয়ে দিয়েছে। এদিক থেকে উদ্দীপকের শিহাব এবং কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা পরস্পর সাদৃশ্যপূর্ণ চরিত্র।

সারকথা : উদ্দীপকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে শিহাব পাকসেনাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধাও কানু দয়ালের বাড়িতে রেডিওতে ৭ই মার্চের ভাষণ শুনে শত্রু নিধনে তৎপর হয় এবং রাজাকারদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়।

আপনি এই পোষ্টে কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর  নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকের শিহাব ও ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধার মনােভাব এক ও অভিন্ন”- মন্তব্যটি যথার্থ ।।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে তরুণ-যুবকদের পাশাপাশি কিশােরদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কিশােররা নানাভাবে মুক্তিযােদ্ধা ও অসহায় মানুষদের সহযােগিতা করেছে। এ সময় কেউ কেউ মুক্তিযােদ্ধাদের সঙ্গে যােগ দিয়ে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছে। গেরিলা হামলা চালিয়ে শত্রুদের নিশ্চিহ্ন করেছে।

কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধা কিশাের মুক্তিযােদ্ধা। বুধা মা-বাবা, ভাই-বােন হারিয়ে নিঃস্ব ও অসহায় সে একদিন গুলি ছুড়তে ছুড়তে মিলিটারিদের তাদের গ্রামে ঢুকে জ্বালাও-পােড়াও এবং নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালাতে দেখে। তখন তার মনে প্রতিশােধের আগুন জ্বলতে থাকে । তখন শত্রু হননই যেন তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে ওঠে।

সে রাজাকার কমান্ডারের বাড়িতে আগুন দেয়, মিলিটারি ক্যাম্পে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে, মাটি কাটার দলের সঙ্গে যােগ দিয়ে ব্যাঙ্কারে মাইন পুঁতে মিলিটারি ক্যাম্প উড়িয়ে দেয়। সে জীবন দিয়ে হলেও শত্রুদের তাড়িয়ে দেশ স্বাধীন করতে চেয়েছে। তার এ প্রত্যাশার সঙ্গে উদ্দীপকের শিহাবের প্রত্যাশা সাদৃশ্যপূর্ণ।

শিহাবও পাকিস্তানিদের হত্যাযজ্ঞের প্রতিশােধ নিতে চায় । জীবনকে তুচ্ছজ্ঞান করে সেও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তার একের পর এক সফল অভিযানে পাকসেনারা গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয়। কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে শত্রুর বিরুদ্ধে মুক্তিযােদ্ধাদের অভিযান সফল হয়েছে। আর এ অভিযানের মূলে কাজ করেছে কিশাের মুক্তিযােদ্ধা বুধা।

বুধা মাঝে মাঝে কাকতাড়ুয়া সেজে থাকে; কেউ কেউ তাকে পাগল, কাকতাড়ুয়া, ছন্নছাড়া ইত্যাদি বলে ডাকে। উদ্দীপকের শিহাবও বুধার মতােই একজন সফল মুক্তিযােদ্ধ। তার সফল অভিযানের কারণেই পাকসেনারা গ্রাম ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এদিক থেকে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সারকথা : মিলিটারির ভয়ে সবাই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গেলেও সাহসী বুধা একাই গ্রাম দেখাশুনার কথা বলে এবং মুক্তিযােদ্ধাদের সঙ্গে যােগ দিয়ে ব্যাঙ্কারে মাইন পুঁতে মিলিটারিদের ক্যাম্প উড়িয়ে দেয়। তার মতাে উদ্দীপকের শিহাবও দেশের স্বাধীনতার জন্য শত্রুর বিরুদ্ধে একের পর এক শফল অভিযান পরিচালনা করে। এ দিক থেকে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের সাইটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষামূলক পোষ্ট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button