পড়াশোনা

অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২

অনুসন্ধান করে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি যদি ইতিমধ্যে অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২ অনুসন্ধান করে থাকেন তবে সঠিক জায়গায় এসেছেন। প্রশ্নের উত্তর গুলো পাশাপাশি দেওয়া হয়েছে। আপনাদের সিলেবাস ও পাঠ্য সম্পর্কিত আরো প্রশ্নোত্তর আমাদের সাইটে খুঁজে পাবেন। চলুন শুরু করা যাক।

অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১

আমাদের অন্যতম ব্যবসায় পাস বিক্রয়। এই পাস বিক্রেতার নাম বর’ এবং ক্রেতাকে শ্বশুর বলে। এক একটি পাসের মূল্য কত জান? “অর্ধেক রাজত্ব ও এক রাজকুমারী” এম.এ. পাস অমূল্য রত্ন, ইহা যে সে ক্রেতার ক্ৰেয় নহে । নিতান্ত সস্তা দরে বিক্রয় হইলে, মূল্য এক রাজকুমারী এবং সমুদয় রাজত্ব। আমরা অলস, তরলমতি, শ্রমকাতর, কোমলাঙ্গ বাঙালি কিনা তাই ভাবিয়া দেখিয়াছি, সশরীরে , পরিশ্রম করিয়া মুদ্রালাভ করা অপেক্ষা Old fool শ্বশুরের যথাসর্বস্ব লুণ্ঠন করা সহজ। (তথ্যসূত্র : নিরীহ বাঙালি- রােকেয়া সাখাওয়াত হােসেন)

ক. ‘গজানন’-এর ব্যাসবাক্য কী?

খ. মামার মুখ লাল হয়ে ওঠে কেন?

গ. উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের কোন দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের আংশিক প্রতিফলন মাত্র।”- মন্তব্যটির যথার্থতা প্রমাণ কর ।

উপরোক্ত তথ্য অনুযায়ী অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে সৃজনশীল প্রশ্নগুলো কেমন হতে পারে তা আপনি দেখে নিয়েছেন। চলুন এবার তবে প্রশ্নের উত্তর সমাধান গুলোও PDF সহ দেখে নেওয়া যাক।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ১ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ ‘গজানন’-এর ব্যাসবাক্য- গজ আনন যার।

খ উত্তরঃ কনের দরিদ্র পিতার কাছে নিজের কূটচাল ও চাতুরী প্রকাশ পাওয়ায় অপমানে অনুপমের মামার মুখ লাল হয়ে ওঠে।  বিয়েতে অনুপমের মামার ইচ্ছে ছিল সমস্ত দেনা-পাওনা কড়ায়-গণ্ডায় বুঝে নেওয়ার । এই উদ্দেশ্যেই তিনি বিয়েবাড়িতে সেকরাসহ হাজির হন যাতে কন্যাপক্ষ থেকে যেসব গহনা দেওয়া হবে সেগুলাে পরখ করে নিতে পারেন।

শেষ পর্যন্ত গহনা যাচাই করার সময় মেয়ের বাবা শম্ভুনাথ সেন একজোড়া কানের দুল সেকরাকে পরখ করতে বলেন। সেকরা জানায় ওই কানের দুলে সােনার পরিমাণ অনেক কম আছে। ওই কানের দুল অনুপমের মামা মেয়েকে আশীর্বাদ করার সময় দিয়েছিলেন। শম্ভুনাথ সেন অনুপমের মামার হাতে কানের দুল জোড়া দিয়ে তা তার কাছেই রাখতে বলায় অনুপমের মামা অপমানিত বােধ করেন। দরিদ্রের কাছে পরাজিত হয়ে যাওয়ায় তার মুখ লাল হয় ওঠে।

সারকথা : কনের দরিদ্র পিতার কাছে নিজের কূটচাল ও চাতুরী প্রকাশ পাওয়ায় অপমানে অনুপমের মামার মুখ লাল হয়ে ওঠে।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি অপরিচিতা’ গল্পের পণপ্রথার দিকটির সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। ও পণপ্রথা বা যৌতুকপ্রথা একটি সামাজিক ব্যাধি। সমাজের এ ঘৃণ্য প্রথাকে মেনে নিয়ে অধিকাংশ পিতাকে সমস্যায় পড়তে হয়।

কোনাে কোনাে পিতা নিজের সমস্ত অর্থ-বিত্ত দিয়ে হলেও কন্যাকে পাত্রস্থ করতে চান। নারীরা শিক্ষিত, সচেতন ও আত্মনির্ভরশীল না হলে যৌতুকপ্রথার অভিশাপ থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব নয়। উদ্দীপকে বাঙালিদের পাস ব্যবসায় বিষয়ে বলা হয়েছে।

পাস বলতে পড়ালেখায় পাস করে তার বাজারমূল্যকে বােঝানাে হয়েছে। এখানে পাস বিক্রেতাকে ‘বর’ এবং ক্রেতাকে শ্বশুর’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। এক একটি পাসের মূল্য অর্ধেক রাজত্ব ও এক রাজকুমারী। এ ক্ষেত্রে বাঙালি সশরীরে পরিশ্রম না করে ওল্ড ফুল (Old fool) শ্বশুরের যথাসর্বস্ব লুণ্ঠন করাকেই সহজ উপায় মনে করেছে।

উদ্দীপকের এ বিষয়ের সঙ্গে ‘অপরিচিতা’ গল্পের পণপ্রথার দিকটি সাদৃশ্যপূর্ণ। এ গল্পে বর এমএ পাস এবং ধনীর দুলাল। আর সে কারণেই অনেক বড় ঘর থেকে তার সম্বন্ধ আসে। তার মামা অবশেষে এমন এক মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে যার বাবা বরকে সর্বস্ব দিতে কসুর করবে না। ছেলের শিক্ষাগত যােগ্যতাকে এখানে পণের মূল্যমান হিসেবে ধরা হয়েছে। 

সারকথা : পণপ্রথার কারণে মেয়েরা অবহেলার শিকার এবং পিতারা কন্যাদায়গ্রস্ত। উদ্দীপকে পাস বিক্রয়ের মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি অপরিচিতা’ গল্পের পণপ্রথার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। উভয় ক্ষেত্রে যৌতুককে পাত্রপক্ষের প্রাপ্য বলে মনে করা হয়েছে। 

হুবুহু সৃজনশীল প্রশ্ন খবুই কম কমন পড়তে দেখা যায় । তাই এই পোষ্ট অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন উত্তর pdf এর পাশাপাশি মূল বই থেকে এ সম্পর্কিত আরও বিষয়বলী গুলো ধারণা রাখুন। এতে করে যেভাবেই প্রশ্ন আসুক যাতে আপনি উত্তর দিতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ “উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের আংশিক প্রতিফলন মাত্র।”- মন্তব্যটি যথার্থ ।  বর্তমান সমাজে উপযুক্ত যৌতুক দিতে না পারলে মেয়েকে যােগ্য বরের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া যায় না। এ বিষয়টি আমাদের সমাজে এমনভাবেই প্রচলিত হয়ে গেছে যে, এটাকে একটা প্রথাই মনে করা হয়।

প্রকৃতপক্ষে যৌতুক দেওয়া বা নেওয়া অন্যায় । এবং এটা সামাজিক ব্যাধি।। ‘অপরিচিতা’ গল্পে বর এমএ পাস হওয়ায় তার পরিবারের পণের দাবিও বেশি। কন্যার বাবাকে পেষণ করে যেকোনাে মূল্যে তারা বিশেষত অনুপমের মামা তা কড়ায়-গণ্ডায় আদায় করতে চায়।

উদ্দীপকেও এ বিষয়টির প্রতিফলন লক্ষ করা যায়। সেখানেও পাস অনুপাতে যৌতুকের মূল্য নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। উদ্দীপকের বর্ণনা অনুসারে এদেশের ছেলেরা শিক্ষাগত যােগ্যতার বিনিময়ে শ্বশুরের সর্বস্ব আদায় করে, যা সমাজে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। উদ্দীপকে বর্ণিত এ বিষয়টি ছাড়াও ‘অপরিচিতা’ গল্পে আরও কিছু বিষয় আছে, যেগুলাে উদ্দীপকে নেই।

‘অপরিচিতা’ গল্প এবং উদ্দীপক উভয় ক্ষেত্রে যৌতুকপ্রথা এবং কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার অবস্থার বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে। কিন্তু অপরিচিতা গল্পে এই বিষয় ছাড়াও যৌতুকপ্রথার বিরুদ্ধে কন্যার পিতার অবস্থান, বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর কল্যাণীয় বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত, মেয়েদের শিক্ষাদানের ব্রত গ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে, যেগুলাে উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই বলা যায় যে, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সারকথা : যৌতুকপ্রথা এবং পাস বিক্রয়ের মূল্য হিসেবে এমএ পাস পাত্রের মূল্যমান হিসেবে উদ্দীপক ও ‘অপরিচিতা’ গল্পের পাত্রের মূল্য G্য নির্ধারণের বিষয়টি সাদৃশ্যপূর্ণ। কিন্তু এটি ছাড়াও অন্যান্য বিষয় যেমন- গল্পের পিতার যৌতুকবিরােধী অবস্থান, কল্যাণীর বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত, বর অনুপমের ক্ষমা প্রার্থনা ইত্যাদি উদ্দীপকে নেই। এই বিচারে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ হয়েছে।

প্রিয় পাঠক আপনি ইতিমধ্যে আমাদের সাইটের মাধ্যমে অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ১টি পূর্ণাঙ্গ সম্পন্ন করেছেন। চলুন এ সম্পর্কিত আরও একটি দেখে নেওয়া যাক।

অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২

যৌতুকের দাবির কারণে নিজের বিয়ে ভেঙে দিয়েছিলেন যে নারী বাংলাদেশে বিয়েতে যৌতুক দাবি করার বিষয়টি আইনে নিষিদ্ধ হলেও অনেকটা গােপনেই যৌতুকের লেনদেন হয়। কনেপক্ষও বেশিরভাগ সময় কনের কল্যাণের কথা চিন্তা করে যৌতুক প্রদান করে। কিন্তু সেখানেই একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন বরগুনার মেয়ে ফারজানা ইয়াসমিন। ফারজানা ইয়াসমিনের বিয়ে ঠিক হয়েছিল ২০১১ সালে। কিন্তু বিয়ের আসরে তার বরপক্ষ যৌতুক দাবি করে। তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে যৌতুকলােভী বরকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি, নিজের বিয়ে ভেঙ্গে দেন। এখন তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করছেন। বিয়েও করেছেন।

ক. অনুপমের সুন্দর চেহেরাকে পণ্ডিতমশায়রা কোন ফলের সঙ্গে তুলনা করে বিদ্রুপ করতেন?

খ. “সে বলিল মাতৃআজ্ঞা”- ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকটি অপরিচিতা’ গল্পের কোন অসংগতিকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা কর।

ঘ. উদ্দীপকের ফারজানা ‘অপরিচিতা গল্পের কল্যাণীর চেতনার সার্থক প্রয়ােগ ঘটিয়েছেন- মন্তব্যটির যথার্থতা বিচার কর ।

সৃজনশীল প্রশ্ন নম্বর ২ এর উত্তর সমূহ

ক উত্তরঃ অনুপমের সুন্দর চেহেরাকে পণ্ডিত মশায়রা মাকাল ফলের সঙ্গে তুলনা করে বিদ্রুপ করতেন।

খ উত্তরঃ অনুপম কল্যাণীর কাছে বিয়ে না করার শপথের কারণ জানতে চাইলে কল্যাণী প্রশ্নোক্ত কথাটি বলে।।

মামারহীন মানসিকতা এবং অনুপমের ব্যক্তিত্বহীনতার কারণে কল্যাণীর সঙ্গে তার বিয়ে ভেঙে যায়। তখন থেকেই পিতার আদর্শে গড়া কল্যাণী দেশ সেবার ব্রতে আত্মনিয়ােগ করে। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ঘটনার অনেক দিন পর কল্যাণীর সঙ্গে অনুপমের সাক্ষাৎ হয় এবং সে ভুল স্বীকার করে কল্যাণীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কল্যাণী সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং এর কারণ হিসেবে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলে। 

সারকথা : কল্যাণী বিয়ে না করার কারণ হিসেবে অনুপমকে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলে।

গ উত্তরঃ উদ্দীপকটি ‘অপরিচিতা’ গল্পের যৌতুকপ্রথার মতাে সামাজিক অসংগতিকে নির্দেশ করে।

যৌতুকপ্রথা এক মারাত্মক সামাজিক ব্যাধি। এটি সামাজিক কাঠামােকে নষ্ট করে দিচ্ছে। এই যৌতুকের কারণে অনেক নারীর সংসার ভাঙছে। তাদের জীবন হয়ে উঠছে দুর্বিষহ। এটি থেকে পরিত্রাণ না পেলে সমাজ কখনাে এগিয়ে যেতে পারবে না। উদ্দীপকে যৌতুকের ঘৃণ্য থাবার কথা বলা হয়েছে।

বাংলাদেশে এটি আইনতভাবে নিষিদ্ধ হলেও অনেকটা গােপনে যৌতুকের লেনদেন হয়। মেয়েপক্ষ মেয়ের কল্যাণের কথা চিন্তা করে যৌতুক প্রদান করে। এই বিষয়টি ‘অপরিচিতা গল্পে প্রকাশিত যৌতুকপ্রথার মতাে সামাজিক অসংগতিকে নির্দেশ করে। আলােচ্য গল্পে যৌতুকের কারণে কল্যাণীর বিয়ে ভেঙে যায়।

বরপক্ষের লােভী মানসিকতা প্রকাশ পেয়েছে যৌতুকের লেনদেনের ব্যাপারে। শেষপর্যন্ত কনের পিতা শম্ভুনাথ সেন বিয়েটা ভেঙে দিতে বাধ্য হন। গল্পের এই সামাজিক অসংগতিটি তুলে ধরেছে উদ্দীপকটি।

সারকথা : ‘অপরিচিতা’ গল্পে যৌতুকের কালাে থাবার বিষয় প্রকাশ পেয়েছে। গল্পের এই বিষয়ই উদ্দীপকটি নির্দেশ করছে।। 

আপনি এই পোষ্টে অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর  নিয়ে পড়তেছেন। এটি পূর্ণাঙ্গ পড়া শেষে আপনি এ সম্পর্কিত আরও পাঠ্য আমাদের সাইটে খুঁজে পেতে সার্চ বক্সে অনুসন্ধান করতে পারেন। চলুন বাকী অংশ পড়ে নেওয়া যাক।

ঘ উত্তরঃ উদ্দীপকের ফারজানা ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণীর চেতনার সার্থক প্রয়ােগ ঘটিয়েছেন- মন্তব্যটি যথার্থ। সমাজে নারীরা এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন ও আত্মবিশ্বাসী। তারা পুরুষশাসিত সমাজে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে নানা বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে এবং সফল হচ্ছে।

উদ্দীপকে এক সাহসী নারীর কথা বলা হয়েছে। ফারজানা ইয়াসমিনের বিয়ে ঠিক হওয়ার পর বরপক্ষ যৌতুক দাবি করে। এতে প্রতিবাদ করেন ফারজানা। তিনি যৌতুকলােভী বরকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নিজে বিয়ে ভেঙে দেন। এই বিষয়টি ‘অপরিচিতা’ গল্পে দেখা যায় কল্যাণীর ভিতর।

কল্যাণীও বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর দেশ সেবার ব্রত নিয়ে নারীদের শিক্ষার দায়িত্ব হাতে নেয়। অনুপম বিয়ে করতে চাইলেও প্রত্যাখ্যান করে।। অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণী ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এক নারী। তার দেশ চেতনা ও ব্যক্তিত্বের জাগরণ এবং তার অভিব্যক্তি যৌতুকলােভী সমাজের বিরুদ্ধে এক তীব্র প্রতিবাদ। তার এই প্রতিবাদী চেতনার প্রতিফলন ঘটেছে উদ্দীপকের ফারজানা চরিত্রে। এই দিক বিচারে তাই বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

সারকথা : ‘অপরিচিতা’ গল্পের কল্যাণীর মাঝে যে ব্যক্তিত্বের জাগরণ ও অভিব্যক্তি প্রকাশ পেয়েছে তার সার্থক প্রয়ােগ ঘটিয়েছেন উদ্দীপকের ফারজানা।

আশাকরি আপনার কাঙ্খিত অনুসন্ধান অপরিচিতা গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আমাদের সাইটের মাধ্যমে খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছেন। শিক্ষামূলক পোষ্ট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button