লোডশেডিং – বিদ্যুৎ বিভ্রাট অনুচ্ছেদ রচনা সহ
ধন্যবাদ আপনার অনুসন্ধানের জন্য এবং আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করার জন্য। প্রিয় পাঠক আপনি যদি ইতিমধ্যে অনুসন্ধান করে থাকেন লোডশেডিং – বিদ্যুৎ বিভ্রাট অনুচ্ছেদ রচনা তবে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চলুন তবে লোডশেডিংঅনুচ্ছেদ রচনা নিয়ে থাকা এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিন।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট অনুচ্ছেদ রচনা
লোডশেডিং এর বাংলা অর্থ হলো বিদ্যুৎবিভ্রাট। অর্থাৎ নিয়মিত সরবারাহের মাঝে হঠাৎ বিদুৎ বিচ্ছিন্নতাকে বিদ্যুৎবিভ্রাট বা লোডশেডিং বলা হয়। লোডশেডিং বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচ্য বিষয়। কেনো না আমাদের অনেকেই বড় হওয়ার পর চলমান এই পরিস্থিতির সমুক্ষিন হইনি। ২০১০ সালের পূর্ব্ববর্ত্তী সময় গুলোতে আমরা দেখতাম ঘনঘন লোডশেডিং। এসময় মানুষ কেরোসিন বাতি, হারিকেন অথবা মোমবাতি নিয়ে দৈন্দিন কাজ করতো। অথবা পড়াশোনা করত। কিন্তু হঠাৎ কিভাবে সেই পরিস্থিতি ফিরে এলো? (বিদ্যুৎ বিভ্রাট অনুচ্ছেদ রনা সম্পর্কিত এই আর্টিকেলে বিস্তারিত থাকছে)
লোডশেডিং বাড়ার কারণ হিসেবে বেশ কিছু বিষয়কে সনাক্ত করা গেছে। যেমনঃ বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস, বিদ্যুৎতের অতিমাত্রায় চাহিদা,বিদ্যুৎ অপচয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইত্যাদি। কিন্তু লোডশেডিং হওয়ার আরো কিছু যৌক্তিক কারণ রয়েছে। যেমন,কখনো যদি কোন বিদ্যুৎ সংযোগে আগুন লাগে বা বিদ্যুৎ সরবরাহকৃত স্থানে পানি উঠে তাহলে লোডশেডিং হয়।
আমাদের অনেকরই মনে প্রশ্ন আসতো ছোট বেলায়,কেনো তিব্র কারণে লোডশেডিং করা হত। এর কারণ হলো যখন খুব গরম পড়ে তখন টিনের চালের চাপে অথবা তাপ শোষণ করে এমন কোন স্থানের বিদুৎ এর চার তাপে গলে দিয়ে শর্টসার্কিট হতে পারে যার ফলে বৈদ্যুতিক আগুন লাগা সহও প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতে পারে।
যার ফলে কিছু পর পর তিব্র গরমে বিদ্যুৎ কিছু সময়ের জন্যে বিচ্ছিন্ন করা হতো। কিন্তু বর্তমানে এই কারণ গুলো সহও যোগ হয়েছে আরো অন্যান্য কারণ। যার ফলে তিব্র এই গরমে বার বার বিদ্যুৎ চলে যাওয়াতে আমাদের নানাবিধ অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে৷ যার মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে৷
তবে সব চেয়ে বড় বিষয় এই যে বিদ্যুৎ এর এমন যাওয়া আসাতে কলকারখানার উৎপাদনে ব্যাঘাত হচ্ছে,যা আমাদের অর্থনীতিতে বিরাট ভয়ানক প্রভাব ফেলবে। অন্যদিকে লোডশেডিং এ রাতের অন্ধকারে মানুষের অপরাধ করার সুবিধা হয় যার ফলে অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রিয় পাঠক আপনি এই আর্টিকেলে পড়ছেন লোডশেডিং অনুচ্ছেদ রচনা নিয়ে। পুরোপুরি বুঝার জন্য আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করুন।
লোডশেডিং অনুচ্ছেদ রচনা
বাংলাদেশ ২০২০ সালে রূপপুর বিদুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পাওয়ার কথা৷ কিন্তু করোনা মহামারি ও বিভিন্ন কারণবশত তা পিছিয়ে ২০২২ এ আসে। তবুও এটি একটি আশার বিষয় আমাদের জন্যে, যে এই সংকট খুব দ্রুত মিটবে। কেননা বাংলাদেশ ১০০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করছে।
অন্যদিকে বর্তমানে এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিং এর কারণ হিসেবে অপর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনকে দায়ী করা হচ্ছে। যেখানে সারা দেশে চাহিদা প্রায় ১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সেখানে উৎপাদন মাত্র ১১ হাজার মেগাওয়াট। বাকি বিদ্যুৎতের ঘাটতি লোডশেডিং করার মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি গুলো অব্যাহত রেখেছে৷
এছাড়া বিদ্যুৎতের অপচয় ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ কে বিশ্বব্যাপি জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসাবে দেখা হচ্ছে৷ যার ফলে উৎপাদন কাজে বিদ্যুৎতের ব্যবহার বেড়েছে। এবং এটি নানা দেশে বিদ্যুৎ সরবারহে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। এছাড়া বৈশ্বিক, অর্থনৈতিক কারণ গুলো বাদ দিলেও বিদ্যুৎ অপচয় লোডশেডিং এর আরো একটি কারণ। যার ফলে আমাদের মহামূল্যবান বিদ্যুৎ সম্পদ সংকটের মুখে।
বিদ্যুৎ না থাকলে কি হবে তা আমরা লোডশেডিং থেকে উপলব্ধি করতে পারি। তাই বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ ব্যবহার কমানোর নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, এর মধ্যে অন্যতম হলো সরকারি অফিসে ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ খরচ কমানো,অফিসিয়াল মিটিং অনলাইনে করার চেষ্টা করা,শিক্ষার্থী বহনে ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবহার কমানো। আমরা সকলেই জানি বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানির প্রয়োজন হয়।
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বেশি দামে জ্বালানি কিনে বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে তা দেশের অর্থনীতির জন্যে ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই সরকারের দৃষ্টি স্থায়ী সমধানের দিকে অর্থাৎ সাশ্রয়ের দিকে। তাই আমাদের সবার উচিত বিদ্যুৎতের অপচয় রোধে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হওয়া।
বাসা বাড়িতে এসি চালিয়ে না রাখা,অযথা ফ্যান লাইট ইত্যাদি জ্বালিয়ে বিদ্যুৎ অপচয় না করা। যাতে এই সংকটময় পরস্থিতি থেকে আমরা নিস্তার পাই। কেনো আমরা কেউই অবগত নই কখন এই বৈশ্বিক পরিস্থিতি ঠিক হবে এবং আমরা আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাব। এছাড়াও আমাদের ধর্মে অপচয় কারির নিন্দা করা হয়। বলা হয়ে থাকে অপচয়কারি শয়তানের ভাই।
তাই আমরা সকলে নিজের জায়গা থেকে সচেতন হয়ে দেশের স্বার্থে ও নিজেদের স্বার্থে বিদ্যুৎতের অপচয় কমাবো।